অদম্য মেধাবী রিজভী আহমেদ এখন মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত।
রিজভী আহমেদ সবুজের বড় হওয়া ঝিনাইদহের একটি গ্রামে। গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পান। ওই বছর আমরা ২৬ জন জিপিএ-৫ পান। এই সংবাদ কভার করার জন্য প্রথম আলো প্রতিনিধি ছবি তুলতে যান। সবাই যখন ছবি তোলার জন্য পোজ দিতে রেডি হলেও রিজভীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে জানা গেল, স্কুল ড্রেস না থাকায় তিনি ছবি তুলতে আসতে পারছেন না। পরে একজনের কাছ থেকে শার্ট নিয়ে ছবি তোলার লাইনে দাঁড়ান। স্কুল ড্রেস না থাকা রিজভী আহমেদ এখন মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি ৪০ তম বিসিএসে (প্রশাসন) উত্তীর্ণ হয়ে প্রথমে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পাবলিকেশনস বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, ‘আমার পরিবারের অবস্থা অনেক শোচনীয় ছিল। বাবার জমাজমি বলেতে কিছুই ছিল না। তিন ভাই পড়াশোনা করি তখন। মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার পর আমাকে নিয়ে প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয়। পরে অনেকেই প্রথম আলোর মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। অনেক সহায়তা করে। আমাকে প্রথম আলো থেকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়। এই বৃত্তি সহায়তা নিয়ে ঝিনাইদহ সরকারি কে. সি কলেজে ভর্তি হই। প্রথম আলো থেকে টানা দুই বছর শিক্ষাবৃত্তি চালিয়ে যায়। যার দরুন আমি পড়াশোনা ভালোভাবে করতে পেরেছি। তাই আমি বলব, কোনোভাবেই হতাশ হওয়া যাবে না। পরিশ্রমটা করে যেতে হবে। সফলতা আসবেই।’