বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে বাজেটের ঋণ সহায়তা হিসেবে ৫০৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। এ অর্থ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হয়েছে। এজন্য একদিনের মধ্যেই আবারও কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের রিজার্ভ। রিজার্ভ বেড়ে ৩০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়।
বুধবার (১০ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, বিশ্বব্যাংক থেকে ৫০৭ মিলিয়ন ডলার পেয়েছি। এটা রিজার্ভে যোগ হয়েছে। যার ফলে রিজার্ভ বেড়ে ৩০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সংস্থা থেকে আমাদের ঋণ সহায়তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুব শিগগিরই আমরা তাদের থেকে ঋণ সহায়তা পাবো।
এর আগে করোনার সময়ে রিজার্ভ ব্যাপকহারে বেড়ে যায়। বিশ্বব্যাপী লকডাউন থাকায় পণ্য সরবরাহ ব্যাপকহারে বিঘ্নিত হয়। এতে দেশের আমদানিও কমে যায়। একইসঙ্গে বেড়ে যায় ব্যাংকিং চ্যানেলে বা বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ।
এর ফলে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ বেড়ে চার হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়।
করোনার পরবর্তী সময়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে দেশের অর্থনীতি। তবে গত বছরের শুরুতে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা তৈরি হয়। জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। এর ফলে আমদানি খরচও বাড়ে। তবে সেই তুলনায় বাড়েনি রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়। ধারাবাহিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে। ডলার সংকট কোনোভাবেই কাটছে না। বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রতিনিয়ত রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ তিন হাজার ৩৬ কোটি ডলার। তবে এই হিসাব মানতে নারাজ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
সংস্থাটির মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের দেখানো রিজার্ভের ৬০০ কোটি ডলার ব্যবহারযোগ্য নয়। আইএমএফ গত মার্চে সর্বনিম্ন ২২ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার নিট রিজার্ভ রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল, যা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। আগামী জুনে নিট রিজার্ভ রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছে আইএমএফ। যার পরিমাণ ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার।