বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টকে পদ্মা সেতুর পেইন্টিং উপহার দেওয়ার কারণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসকে পদ্মা সেতুর একটি বাঁধাই করা ছবি উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই ছবিটি নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই দাবি করেন, ওই ছবিটি উপহার দেওয়ার মাধ্যমে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন না করার জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে প্রধানমন্ত্রী জানালেন, এমন কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি ছবিটি উপহার দেননি।
গণভবনে আজ সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনার সদ্য সমাপ্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে ১৫ দিনের সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
বিশ্বব্যাংক প্রধানকে পদ্মা সেতুর ছবি উপহার দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেইন্টিং আমি এজন্য নিয়ে গেছি যে, আমাদের দেশে যে খুব ভালো পেইন্টার আছে, তারা খুব চমৎকার পেইন্টিং করতে পারেন সেইটা জানানোর জন্য। বিশ্বের কারও পেইন্টিং প্রয়োজন হলে তারা যেন আমাদের কাছে চাইতে পারবে।
বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের হাতে পদ্মা সেতুর চিত্রকর্ম তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পেইন্টিংয়ের বিষয়বস্তু হিসেবে পদ্মা সেতুকে বাছাই করার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, পেইন্টিংয়ের বিষয়বস্তুটা এজন্য করেছি যে বাংলাদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে প্রিয় জায়গাটা হচ্ছে পদ্মা সেতু। এটাই কারণ। আর কিছু নেই সেখানে। অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই।
এর আগে, গত ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক সদর দপ্তরে সংস্থাটির প্রেসিডেন্টের হাতে পদ্মা সেতুর ছবি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বব্যাংক সদর দপ্তরের শিহাতা সম্মেলন কক্ষে ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় শেষে প্রধানমন্ত্রী চিত্রকর্মটি হস্তান্তর করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক বিশ্বাসের মনোভাব নিয়ে উজ্জ্বলতর ভবিষ্যত বিনির্মাণে বিশ্বব্যাংককে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, ত্রিদেশীয় সফরে গত ২৫ এপ্রিল জাপানের রাজধানী টোকিও পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে ৮টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৯ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছান। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে আরও কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *