কিশোরী ধর্ষণ মামলায় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। রবিবার দুপুরে তিনি জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদের আদালতে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন বিচারক।
গোলাম কিবরিয়া বড় মনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই। তিনি জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিবসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন।
টাঙ্গাইলের সরকারি কৌশলী (পিপি) এস আকবর খান জানান, এক কিশোরীর ধর্ষণ মামলার বড় মনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিন স্থগিত করে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। সেই আদেশ অনুসারে গোলাম কিবরিয়া বড় মনি ১৫ মে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রবিবার (২১ মে) মিস কেসের মাধ্যমে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বড় মনির জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আদালত শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষ থেকে তার জামিনের পক্ষে শুনানি করেন বার সমিতির সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম রিপন, সিনিয়র আইনজীবী একেএম শামীমুল আক্তার শামীম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মামুন-অর-রশীদ ও ব্যারিস্টার গোলাম নবী, জোয়াহেরুল ইসলাম। এছাড়া অর্ধশত আইনজীবী এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি এস আকবর খান জামিনের বিরোধিতা করেন। তাকে সহায়তা করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল করিম মিয়া, বার সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার ফায়েকুজ্জামান নাজীবসহ ১০-১৫ জন আইনজীবী।
গত ৫ এপ্রিল রাতে এক কিশোরী বাদী হয়ে গোলাম কিবরিয়া বড় মনির নামে ধর্ষণের অভিযোগে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করে। মামলায় ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়েছে। এদিকে বাদীর ডাক্তারি পরীক্ষায় অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রমাণ মিললেও ধর্ষণের আলামত পায়নি মেডিকেল বোর্ড। এছাড়া ওই কিশোরী ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।