আপনার সঙ্গী কি নাক ডাকে? তাহলে চিন্তা করবেন না। সঙ্গীর নাক ডাকার কারণে আলাদা ঘরে ঘুমানোর অভ্যাস আপনার সম্পর্ককে শেষ করার পরিবর্তে উন্নত করতে পারে। একজন ঘুম বিজ্ঞানী একথা বলেছেন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্কাডিয়ান নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক এবং চক্ষুবিদ্যা নুফিল্ড ল্যাবরেটরির পরিচালক রাসেল ফস্টারের মতে, নাক ডাকার কারণে পৃথক ঘরে থাকা দম্পতিরা একটি নতুন সম্পর্ক শুরু করতে পারেন। আলাদা ঘরে ভালোভাবে বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ তাদের সুখী হতে সাহায্য করতে পারে। হেই ফেস্টিভ্যালে একটি বক্তৃতা দেওয়ার সময় কীভাবে রাতে ভালো ঘুম হয় সেপ্রসঙ্গে ফস্টার বলেছিলেন যে ”ইয়ারপ্লাগগুলি নাক ডাকার সঙ্গীর একমাত্র সমাধান নয়। অনেক লোক আমার কাছে ছুটে আসে, তারা বলে ইয়ারপ্লাগ লাগিয়েও তাদের ঘুম হচ্ছে না। আমি তাদের আলাদা ঘরে শোবার পরামর্শ দিই, কারণ এমন অনেকে আছেন যাঁরা সঙ্গীর নাক ডাকা সহ্য করে ঘুমিয়েছেন ঠিকই, তবে ৫০ বছর পর সেই সম্পর্কে ইতি টেনেছেন নিজেরাই। ”ঘুম বিজ্ঞানীর পরামর্শ, “কষ্ট করে না শুয়ে আলাদা ঘরে শুলে বরং নতুন সম্পর্কের সূচনা হবে যেখানে আপনারা উভয়ই আদর্শভাবে সুখী হবেন, একে অপরের প্রতি আরও প্রতিক্রিয়াশীল হবেন, কম আবেগপ্রবণ হবেন, কম খিটখিটে হবেন, তাই আমি মনে করি আপনার যদি একটি বিকল্প ঘুমের জায়গা থাকলে সেটি অবশ্যই বেছে নেয়া উচিত।
“ফস্টার বলেছেন যে নাক ডাকা ব্যক্তিদের অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে কিনা তা জানতে ডাক্তারের কাছে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ, যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে এটি বিপজ্জনক হতে পারে। তিনি ভাল ঘুমের জন্য বেশ কিছু টিপস দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ফোন থেকে ঘুমের অ্যাপগুলি মুছে ফেলা এবং ট্র্যাকারগুলি সরিয়ে ফেলা, যা ঘুম সংক্রান্ত উদ্বেগ দূর করতে পারে এবং ঘুমের গুণমান উন্নত করতে পারে। ফস্টারের পরামর্শ, ঘুমের অ্যাপগুলো নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত না।
তারা আদপে কোনো কাজ করে না। সেইসঙ্গে গবেষকের পরামর্শ, সকালে সূর্যের আলো গায়ে লাগানো শরীরের সার্কেডিয়ান ছন্দের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মানুষের সার্কাডিয়ান রিদম বা বডি ক্লক আলোর প্রতি সংবেদনশীল।
সূত্র : দা গার্ডিয়ান