রোদ থাকুক আর বৃৃৃষ্টি—ঘামের হাত থেকে নিস্তার নেই। আর এই ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হওয়ার মতো অপ্রিয় অবস্থা তৈরির পেছনে হাত থাকতে পারে কিছু খাবারের।
বাতাসে আর্দ্রতা বেড়েছে বেশ। আবার এদিকে গরমও বাড়ছে আজ সূর্যের দেখা মেলার পর থেকেই। এমন আবহাওয়ায় ঘাম হবেই। কিন্তু এই ঘাম থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধের জন্য অনেককেই সবার মধ্যে হতে হয় বিব্রত। শরীর ও পরনের কাপড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলেও কিছু কিছু খাবার গ্রহণের ফলে এই দুর্গন্ধের মাত্রা বাড়ে বলে বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায়। আসলে কিছু কিছু খাবারের উপাদান পরিপাকের সময় এমনভাবে বিয়োজিত হয় যে তা শরীরে দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে। এবার সেগুলো দেখে নিয়ে খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন আনা যায় ঘামের দুর্গন্ধ কমিয়ে আনতে চাইলে।
কপি জাতীয় সবজি: ফুলকপি, বাঁধাকপি—এই সবজিগুলোকে ক্রুসিফেরাস সবজি বলা হয়। আজকাল বাজারে এগুলো সারা বছরই মিলছে। এগুলো হজম করতে সালফার-জাতীয় যৌগ তৈরি হয় বলে দেহের দুর্গন্ধে ভূমিকা রাখতে পারে এই সবজিগুলো। তবে অত্যন্ত উপকারী আর কম ক্যালরির এই কপি-জাতীয় সবজি আগেভাগেই বাদ না দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে যে তা অতিরিক্ত সমস্যা করছে কি না।
পেঁয়াজ-রসুন: খাবারে অতিরিক্ত পেঁয়াজ, রসুন নিশ্বাস আর ঘাম দুটিরই দুর্গন্ধ বাড়ায়। অথচ আমাদের নিত্যদিনের খাবার থেকে শুরু করে বিশেষ ভোজ—সবকিছুতেই পেঁয়াজ, রসুন থাকে। ভর্তা, সালাদ বা শিঙাড়ার সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ ছাড়া চলে না। কাঁচা রসুনও ভর্তায় লাগে, থাকে গার্লিক সসে। তবে ঘামের দুর্গন্ধ বেশি হলে খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন এনে পেঁয়াজ-রসুনের আধিক্য কমানো যায়।
মাছ ও অন্যান্য সি ফুড: মাছের আঁশটে গন্ধ ঘামেও সঞ্চারিত হতে পারে। তবে এর মাত্রা বেশি হলে তাকে ডাক্তারির পরিভাষায় ট্রাইমিথাইল্যামিনুরিয়া বলে। এ অবস্থা হলে মাছ ও সি ফুডের উপাদান ট্রাইমিথাইল অ্যামিনকে শরীর ভাঙতে পারে না। সবকিছু বিবেচনা করেই এই জবজবে ঘামের দিনে ডায়েট ঠিক করতে হবে।
মরিচ ও জিরা: এমনিতে মরিচ আর জিরা সুগন্ধি মসলা হলেও এগুলোতে আছে সালফার যৌগ। তাই ঘামের দুর্গন্ধে এরা ভূমিকা রাখতে পারে। তবে মরিচ আবার গরমে উপকারী। ঘাম ঝরিয়ে শরীর ঠান্ডা করে মরিচ। তাই ঘামের দুর্গন্ধ অতিরিক্ত হলে মরিচ বা জিরা বাদ না দিয়ে কমিয়ে আনা যায় খাবারে।
লাল মাংস : লাল মাংসে থাকে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন। হজমে সময় ও শক্তি বেশি খরচ হয় গরু-খাসির মাংস বেশি খেলে৷ এর ফ্যাটি অ্যাসিড ঘামের সঙ্গে নিঃসৃত হলে ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটিয়ে ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে তা। তাই লাল মাংস পরিমিত পরিমাণে খেলে তা শরীরের কোলেস্টেরলের সঙ্গে সঙ্গে কমাতে পারে ঘামের দুর্গন্ধও।
সূত্র: হেলথলা