ডলার সংকটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আমদানি করতে পারছিলেন না ব্যবসায়ীরা। পণ্য আনতে না পারায় ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিতে পড়েন তারা। ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রুপিতে বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু হওয়ায় সে ক্ষতি তারা পুষিয়ে নিতে পারবেন।
দুদেশের মধ্যে রুপিতে যে বাণিজ্য লেনদেন শুরু হয়েছে, তার প্রথম আমদানিকারক নিটা কোম্পানির মালামাল বেনাপোলে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চালানটি পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে বলে জানিয়েছেন সিঅ্যান্ডএফ সারথী এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি ইসরাইল হোসেন।
ডলার সংকটের বিশ্বে লেনদেন নিষ্পত্তির বিকল্প তৈরির চেষ্টায় গত ১১ জুলাই ঢাকায় এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রুপিতে বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু হয়। সেই যাত্রার প্রথম চালান সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় খুশি দুদেশের ব্যবসায়ীরা।
নিটা কোম্পানির যশোর অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ১ কোটি ২৩ লাখ ১৭ হাজার ৭৬০ রুপি মূল্যের মোটর যন্ত্রাংশ নিয়ে চারটি ট্রাক বেনাপোলে পৌঁছেছে।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশের আধুনিকীকরণ ও ডিজিটাল ডেভলপমেন্টের কারণে কিছুটা ডলার সংকট দেখা দেয়। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। তাই দুদেশের আধিকারিকরা ১১ জুলাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশি টাকার বিনিময়ে আমদানি-রপ্তানি সচল রাখার। টাটা মোটরস মঙ্গলবার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট দেড় কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করল।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান বলেন, রুপিতে আমদানি ব্যয় মেটানোর বিষয়ে গত এক দশক আগে আলোচনা শুরু হয়। তবে গেল বছর রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধে ডলার সংকট দেখা দিলে রুপিতে পণ্য আমদানির বিষয়টি নতুন করে প্রাধান্য পায়।
বর্তমানে বাণিজ্য সহজ করতে রুপিতে আমদানি ব্যয় মেটানো বড় সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এতে আমদানি-রপ্তানি ও রাজস্ব আয়ও বাড়বে।