চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন নৌকার বাচ্চু বিজয়ী, ভোট পড়েছে ১১ শতাংশ

চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তবে ভোটার আনতে ঘরে ঘরে গাড়ি পাঠানো, মসজিদে মাইকিংসহ নানা কর্মসূচির পরও নির্বাচনে মোট ৫৭ হাজার ১৫৩টি ভোট পড়েছে। যা মোট ভোটের মাত্র ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ। এরমধ্যে মহিউদ্দিন বাচ্চু পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯২৩ ভোট।
রোববার (৩০ জুলাই) রাতে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এই ফলাফল ঘোষণা করেন। এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র ছিলো ১৫৬ টি।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. সামসুল আলম। তিনি ১ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ) পেয়েছেন ১ হাজার ২৩০ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি) পেয়েছেন ৫৭৯ ভোট। এছাড়া বেলুন প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী পেয়েছেন ৪৮০ ভোট, রকেট প্রতীকে মঞ্জুরুল ইসলাম ভুইয়া পেয়েছেন ৩৬৯ ভোট। এরমধ্যে বিজয়ী প্রার্থী ছাড়া সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
যদিও ভোটের দিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে দুই দফা মারধরের শিকার হওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী আরমান আলী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
রিটার্নিং অফিসার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ১৫৬টি কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির খবর পাওয়া যায়নি। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৬-১৭ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন। কয়েকটি কেন্দ্রে ১৮-১৯ জন পুলিশ ও আনসার ছিলেন। পুলিশ এবং এপিবিএনের সমন্বয়ে ৮ ওয়ার্ডে ৮টি মোবাইল ফোর্স ছিলো। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র‌্যাব ও বিজিবি দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত এমপি ডা . আফছারুল আমিনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এ আসনের উপনির্বাচনে ৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে নগর যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু ও লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সামসুল আলম, সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত, ছড়ি প্রতীকে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর মো. আরমান আলী বেলুন ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া রকেট প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে নৌকা ছাড়া কোন প্রার্থীর প্রচারণা লক্ষ্য করা যায়নি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *