৬৭ বছর বয়স পূর্ণ করে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যাচ্ছেন। কিন্তু সে সময় সুপ্রিম কোর্ট অবকাশে থাকবে বলে বৃহস্পতিবারই তার বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবস।
দেশের বিচারাঙ্গনের শীর্ষ পদে এক বছর আট মাস দায়িত্ব পালন শেষে বিদায়ের দিন ঘনিয়ে এল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর।
৬৭ বছর বয়স পূর্ণ করে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যাচ্ছেন। কিন্তু সে সময় সুপ্রিম কোর্ট অবকাশে থাকবে বলে বৃহস্পতিবারই তার বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবস বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী।
রেওয়াজ অনুসারে এদিন তাকে আপিল বিভাগের এক নম্বর বিচার কক্ষে বিদায় সংবর্ধনা দেবে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছ থেকে দেশের ত্রয়োবিশংতম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ায় বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর জন্ম। পড়ালেখা শেষ করে ১৯৮১ সালের ২১ অগাস্ট তিনি ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে আইন পেশায় যোগ দেন।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর।
১৯৮৩ সালে হাই কোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খুলনা সিটি করপোরেশন, কুষ্টিয়া পৌরসভা, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির আইন উপদেষ্টা ছিলেন। ছিলেন বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলও।
২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাই কোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারক হন।
তিনি ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
প্রধান বিচারপতির শপথ নিলেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
সংবিধানের ৯৬ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা ৬৭ বছর পর্যন্ত পদে থাকতে পারেন।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিকীও এক সময় আপিল বিভাগের বিচারক ছিলেন।