আল–শিফা হাসপাতালের মর্গে রাখা মরদেহ। গাজা সিটি, ১২ অক্টোবর
আল–শিফা হাসপাতালের মর্গে রাখা মরদেহ। গাজা সিটি, ১২ অক্টোবরছবি: এএফপি
ইসরায়েলের লাগাতার বিমান হামলায় ফিলিস্তিনিদের ক্রমবর্ধমান হতাহতের সংখ্যার মধ্যে ২০ খুবই ছোট।
গাজার ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবন্ধ সমাজ থেকে ২০টি পরিবারকে মুছে ফেলা হয়েছে, যেখানে সবাই সবাইকে চিনতেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে।
ফিলিস্তিন বলছে, ২০টি পরিবারের সব জীবিত সদস্যের নাম সরকারি নিবন্ধন খাতা থেকে কেটে ফেলা হয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় তাঁদের প্রাণ গেছে।
সাত দিন ধরে ইসরায়েলের লাগাতার বিমান হামলায় কেঁপে উঠছে গাজা উপত্যকা। গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েল বলেছে, তারা গাজায় ছয় হাজার বোমা ফেলেছে। অর্থাৎ, প্রতিদিন এক হাজার বোমা ফেলা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ইসরায়েলি হামলায় গাজার অন্তত ১ হাজার ৭৯৯ জনের প্রাণ গেছে, যাঁদের মধ্যে ৬০ শতাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৮৮ জন।
গাজার কিছু পাড়া–মহল্লার পুরোটাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ৭ অক্টোবর হামাসের সশস্ত্র শাখা ইসরায়েলে যে নজিরবিহীন হামলা হামলা চালিয়েছে, তার জবাবে তারা বোমা হামলা করছে।
হামাসের হামলায় ইসরায়েলের মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০০–তে, আহত হয়েছেন ৩ হাজারের বেশি মানুষ।
ইসরায়েলের ঘোষিত লক্ষ্য হামাসকে নির্মূল করা এবং এর অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দেওয়া। কিন্তু ঘনবসতিপূর্ণ গাজা উপত্যকায় আটকে থাকা বেসামরিক নাগরিকেরাই মূলত ইসরায়েলের বোমা হামলার শিকার হচ্ছেন।