ইসরাইল-হামাস উত্তেজনার মধ্যে এবার চরম সতর্কতা দিলো ইরান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরবদুল্লাহিয়ান ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছেন, যদি প্যালেস্তাইনের বিরুদ্ধে ইসরাইল আগ্রাসন বন্ধ না করে, তবে অন্যান্য দেশগুলিও ইসরাইলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু “হামাসকে ধ্বংস করার” প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি- ‘আমাদের আঙুলও ট্রিগারে রয়েছে’।
কাতারে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহের সাথে দেখা করার পর হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান বলেছিলেন, “গাজায় হামলা যুদ্ধের নতুন আঙিনা খুলে দেবে। এই যুদ্ধের সম্পূর্ণ দায়ভার আমেরিকা ও জিয়োনিস্ট শাসকদের উপরেই পড়বে।”
ইসরাইল দীর্ঘ সময় ধরেই ইরানের বিরুদ্ধে হিংসায় মদত দেয়া ও হামাস বাহিনীকে অস্ত্র সাহায্য করার অভিযোগ এনেছে। তেহরানের তরফেও ইসরাইলের অভিযোগ সম্পূর্ণ নসাৎ করা হয়নি। তারা জানায়, গাজা স্ট্রিপ নিয়ন্ত্রণকারী হামাসকে নীতিগত ও আর্থিকভাবে সমর্থন করে তারা। এর আগে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে একটি ফোনকলে ফ্রান্সকে ফিলিস্তিনিদের “নিপীড়ন প্রতিরোধে” সহায়তা করার আহ্বান জানান।
রাইসি ইসরাইলকে উল্লেখ করে বলেছেন, ”গাজা অবরোধ সহ ইহুদিবাদী শাসকদের অপরাধ বন্ধ না হলে মানব হত্যা চলতে থাকবে, পরিস্থিতি আরো জটিল হতে থাকবে।”
গাজার ২.৩ মিলিয়ন বেসামরিক নাগরিক খাদ্য, পানি এবং নিরাপত্তার জন্য একটি গভীর সংগ্রামের মুখোমুখি। ইসরাইলের আদেশের পরে কয়েক হাজার গাজার বাসিন্দাদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা কয়েক ঘন্টার জন্য দক্ষিণে একটি নির্দিষ্ট রুটকে লক্ষ্যবস্তু করবে না, সেইসময়ে ফিলিস্তিনিদের স্থান ত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।