এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির বিষয় ও আশঙ্কার ইঙ্গিত দেবে। হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে বড় সঙ্কটের জায়গা হঠাৎ করেই রোগীরা এতে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় না।
চিকিৎসকদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের পরে প্রথম এক ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে বুকে একটা চিন চিন ব্যথা হলে আপনার হৃদযন্ত্র ঠিকঠাক চলছে কি না এটি বুঝতে হলে বাজারের কিছু বিশেষ ব্র্যান্ডের স্মার্টওয়াচ, স্মার্টফোন বা ডিজিটাল স্টেথোস্কোপের মতো সহজে পাওয়া যায়। এমন কিছু যন্ত্র আছে যা দিয়ে অতি সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার হৃদযন্ত্রের অবস্থা তখন কি রকম। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যেই আগাম সেই ইঙ্গিত পাওয়া যাবে।
কলকাতার আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. মিন্টু তুরাখিয়া বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করে এমন একধরণের যন্ত্র আছে যেগুলো চিকিৎসকরাই শুধু ব্যবহার করতে পারেন। ইসিজি, হার্ট মনিটর প্যাচ, এমনকি এক্স-রে বিশ্লেষণ করার জন্যও এআই ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো কোনো না কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়া যন্ত্র। চিকিৎসকরা এইসব যন্ত্রের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আরও নিখুঁত চিকিৎসা করতে পারেন।
ডা. মিন্টু তুরাখিয়া বলেন, চিকিৎসকদের ব্যবহৃত সেসব যন্ত্র ছাড়াও আরেক ধরণের যন্ত্রও আছে, যেখানে এআই ব্যবহার করা হয়, কিন্তু আসলে সেগুলো ভোগ্যপণ্য। অ্যাপল ওয়াচের মতো স্মার্ট ওয়াচ বা সাধারণের ব্যবহারযোগ্য ইসিজির মতো ভোগ্যপণ্যগুলি কোনো চিকিৎসক ছাড়াই ইসিজি বিশ্লেষণ করে জানিয়ে দিতে পারে যে হৃদযন্ত্রে কোনো সমস্যা আছে কি না। এই সফ্টওয়ারগুলো অবশ্য সব দেশে এখনও ব্যবহার করা হয় না।
তিনি বলেন, একটি বিখ্যাত ব্র্যান্ডের স্মার্ট ওয়াচে এরকম একটা ফিচারও যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে ওই হাত ঘড়ির পিছনে একটি আলো থাকে। ওই আলোর বিন্দুটির মাধ্যমেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হিসাব কষে বলে দিতে পারে যে ওই ব্যক্তির নাড়ির গতি স্বাভাবিক আছে কি না। অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন মানেই কোনো একটা সমস্যা আছে তার হৃদযন্ত্রে। এমনকি স্মার্টফোনের ফ্ল্যাশ লাইটের ওপরে আঙুল রেখেও হৃৎস্পন্দন মাপা যায়, এরকম অ্যাপও রয়েছে। কিন্তু নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইসিজি আর চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে।