সিলেট, ৬ জুন, ২০২৪ (জনতার কণ্ঠ) : আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় কোরবানির পশু চাহিদার চেয়ে ৩৬ হাজারের বেশি পশু স্থানীয়ভাবে মজুত রয়েছে।
সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় এই বছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য প্রায় ৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৫১ পশুর চাহিদা রয়েছে। তবে বিভাগজুড়ে জবাইয়ের জন্য সাড়ে ৪ লাখ গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট বিভাগীয় প্রাণি সম্পদ কার্যালয়। প্রাণি সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, সিলেট বিভাগে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত আছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৭টি।
এই ব্যাপারে সিলেট বিভাগীয় প্রাণি সম্পদ অফিসের পরিচালক ডা. মারুফ হাসান জানান, এবার সিলেট বিভাগে কোরবানির পশুর কোনো ঘাটতি নেই। বিগত কয়েক বছরের ন্যায় এবার সিলেট বিভাগে পশুর উৎপাদন বেড়েছে।
গত বছর ঈদুল আজহায় সিলেট বিভাগে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮১৯টি। চাহিদা ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৯৩টি পশুর। ঘাটতি ছিল প্রায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৭৪টি পশুর।
সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয় জানায়, কোরবানির ঈদে এই বছর সিলেট বিভাগে প্রায় ৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৫১টি পশু চাহিদা রয়েছে। তবে কোরবানিযোগ্য ৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৭টি পশুর মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৮০টি ষাঁড়, ৪৯ হাজার ১০৩টি বলদ, ৩৩ হাজার ৩৭৫টি গাভি, ৪ হাজার ৫৩৩টি মহিষ, ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৩টি ছাগল, ৭০ হাজার ৯৫৩টি ভেড়া ও ১১০টি অন্য পশু রয়েছে।
সুনামগঞ্জে প্রস্তুত আছে ৬২ হাজার ৬৮৮টি পশু। এর মধ্যে ২৩ হাজার ৪৫৩টি ষাঁড়, ৭ হাজার ৫৮৪টি বলদ, ৭ হাজার ১২৫টি গাভি, ৪৯২টি মহিষ, ১৩ হাজার ১৫৭টি ছাগল, ১০ হাজার ৮২৬টি ভেড়া ও ৫১টি অন্য পশু রয়েছে। জেলাটি এবার চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত থাকবে ৮ হাজার ৩২৬টি পশু।
হবিগঞ্জে জেলায় প্রস্তুত আছে ১ লাখ ২ হাজার ৯৭৬টি পশু। এর মধ্যে ২৯ হাজার ৮৯৪টি ষাঁড়, ৫ হাজার ২৬৪টি বলদ, ১৩ হাজার ৪২টি গাভি, ৬৫১টি মহিষ, ৩২ হাজার ৬০৮টি ছাগল, ২১ হাজার ৫১৫টি ভেড়া ও ২টি অন্য পশু রয়েছে। জেলাটিতে কোরবানির চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত থাকবে ১২ হাজার ৩৩৮টি পশু।
মৌলভীবাজারে প্রস্তুত আছে ৮৩ হাজার ৮১২টি পশু। এরমধ্যে ২৩ হাজার ২৯৩টি ষাঁড়, ৪ হাজার ২৫১টি বলদ, ৭হাজার ৫৭টি গাভি, ৯৯৮টি মহিষ, ৩২ হাজার ২৮৬টি ছাগল, ১৫ হাজার ৮৭৫টি ভেড়া ও ৫২টি অন্য কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। বিভাগের একমাত্র এই জেলাটিতে ১৪ হাজার ৭৩০টি কোরবানিযোগ্য পশুর ঘাটতি রয়েছে। তবে সে ঘাটতি স্থানীয়ভাবে পুরণ করা সম্ভব বেলে তিনি জানান।