মো. মনজুরুল ইসলাম (মনজু) : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চে আজ শেষ হলো ৫ দিনব্যাপী আয়োজন মহাজনের পদাবলী। ৮ জুন ২০২৪ থেকে শুরু হওয়া এ আয়োজনের শেষ দিনে পরিবেশিত হয়েছে লোককাব্যের নানান সুর।
একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও পরিকল্পনায় প্রযোজনা বিভাগের ব্যাস্থাপনায় লোকগানের আসরের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে সন্ধ্যা ৬ টায়। ৫ দিনব্যাপী এই আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সুস্মিতা আক্তার পরিবেশন করেন ‘তোরসা নদীর উতাল পাতাল’ ও ‘ধীকো ধীকো ধীকো মইশালরে’ গান দুটি গানের কথা আব্দুল করিম এবং সুর করেছেন আব্বাস উদ্দিন। আব্দুল করিমের কথায় আব্বাস উদ্দিনের সুরে ‘প্রেম জানে না রসিক কালাচাঁন’ পরিবেশন করেন সাহস মোস্তাফিজ। এ. কে. এম মোস্তাফিজুর রহমানের কথা ও সুরে তিনি আরো পরিবেশন করেন ‘ঘাটায় দেখলে পোড়ায় মন’ গান। রহিমা খাতুন পরিবেশন করেন মহেশ চন্দ্র রায়ের কথা ও সুরে ‘কানিচাত গারিনু আকাশী অকালী’ ও প্রচলিত কথা ও সুরে ‘আঙিনা সামটাং মুই আগলে দিগলে’। এরপর কুশান পালা থেকে নেয়া প্রচলিত কথা ও সুরে ‘কি দিয়া বান্ধিয়া রাখবো রে’ লোকগান পরিবেশন করেন লুবানা ইয়াসমিন দোয়েল। এবং রহিমা কলিতার কথা ও সুরে ‘চ্যাঙরা বন্ধু রসিয়া’ গান দুটি পরিবেশন করেন তিনি। আব্দুল করিমের কথা ও আব্বাস উদ্দিনের সুরে ‘ও মোর কালারে কালা’ এবং প্রচলিত সুরে ‘ও কী ভাই’ গান দুটি পরিবেশন করেন ফাহমিদা রত্না। ধারাবাহিক পরিবেশনায় সুমন রায় পরিবেশন করেন দুটি গান ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে’, কথা ও সুর প্রচলিত ও ‘ঘটক সালার বুদ্ধি ধরি’, কথা ও সুর কচিমুদ্দিন। আরিফুর রহমান চৌধুরী পরিবেশন করেন স্যার জর্জ গিয়ারসনের কথা ও সুর সংগ্রহে ‘আবো নওদাড়িয়া মরিয়া’ ও ‘বাওকুমটা বাতাস বাতাস’ গান দুটি। ‘বাপুই শুনিলে জুড়ায় পরান’ এবং ‘ও মুই না শোনং শোনং’ গান দুটি পরিবেশন করেন স্বপ্না রায়। সাজু পরিবেশন করেন ‘গাড়িয়াল বন্ধুর’ ও ‘ঝরিতে হামার বাড়িতে’ গান দুটি।
অনুষ্ঠানে সবশেষে পরিবেশন ছিল পূন্য চন্দ্র রায়-এর কণ্ঠে দুটি গান ‘ওরে অনেকে দিনে আসছে সাগাই নয়া নয়া সমন্দি’ ও ‘নানান জাতের পাখি দ্যাশত শুনেক কং তোকে’।