জনতার কণ্ঠ ডেস্ক : প্রায় তিন হাজার বছর আগে মধ্যে এশিয়ায় আবিষ্কার হয়েছিল রসুন। সেই থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সারা বিশ্ব জুড়ে এর ব্যাপক ব্যবহার চলছে। এই ভেষজ উদ্ভিদ শুধু যে রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় তা নয়, একাধিক ওষুধ রূপেও এর কার্যাবলি বেশ উল্লেখযোগ্য।
রসুনের রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৬সহ একাধিক ভিটামিন। ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের মত একাধিক খনিজ উপাদান এর মধ্যে বর্তমান। এতে কার্বোহাইড্রেট এবং অল্প পরিমাণে প্রোটিন ছাড়াও থিয়ামিন এবং প্যান্থোথেনিক অ্যাসিড রয়েছে। রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য, এই কারণে প্রাচীন কালে ক্ষত সারানোর জন্য রসুন ব্যবহার করা হত। আসুন তাহলে রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি এক নজরে দেওয়া নেওয়া যাক-
ত্বক: রসুনের পেস্টের সাথে হলুদ ও মধু মিশিয়ে মুখে লাগালে ব্রণ, ফুসকুড়ি, দাগ এবং যাবতীয় ত্বকের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। রসুনের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বকের সমস্যা থেকে রেহাই দিতে সাহায্য করে।
হাইপারটেনশন: রসুনের মধ্যে থাকা অ্যালিসিন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। নিম্ন রক্তচাপের ক্ষেত্রেও শরীরে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে রসুন। তাই মানসিক চাপের মত সমস্যাও রসুনের দ্বারা নির্মূল করা সম্ভব। শুধু তাই নয় থ্রম্বোসিসের মত রোগকেও প্রতিরোধ করে রসুন।
ক্যান্সার প্রতিরোধক: গবেষণায় দেখা গেছে যে, রসুন ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম। প্রস্টেট, খাদ্যনালী এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে রসুন। এমনকি ব্রেস্ট ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী স্তনে সিস্ট এবং টিউমার বিকাশের সম্ভাবনাকেও দূর করে রসুন।
হজমে সহায়ক: বদহজমের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে রসুন খান বেশি করে। হজমের সমস্যাকে দূর করে এবং পেটের জ্বালাভাব ফোলা ইত্যাদি সব সমস্যার হাত থেকে রেহাই করে এই ভেষজ উপাদান।
অ্যান্টিবায়োটিক: রসুনের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান রয়েছে। এর ফলে সাধারণ ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই ক্ষেত্রে এক কোয়া করে রসুন প্রতিদিন খেতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধক: রক্তচাপকে যেমন নিয়ন্ত্রণ করে রসুন তেমনি রক্তকে পরিশুদ্ধ করতেও সাহায্য করে এই ভেষজ উপাদান। তার সাথে বৃদ্ধি করে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। অন্যদিকে, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে রসুন। এমনকি ডায়বেটিসের মত সমস্যাকেও নিয়ন্ত্রণ রাখে। ডায়বেটিসের কারণে শরীরে কিডনি ফেল, হৃদরোগের ঝুঁকি ও সংক্রমণ ইত্যাদি অন্যান্য রোগেরও উৎপত্তি ঘটে। এই ক্ষেত্রে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে রসুন।