ঢাকা, ১৮ আগস্ট ২০২৪ (জনতার কণ্ঠ) : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরবর্তী সভাপতি হবার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। বর্তমান সভাপতির পদ থেকে যেকোন সময় সড়ে যেতে পারেন নাজমুল হাসান পাপন।
বিসিবি পুনর্গঠনের জন্য ক্রীড়া উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ইতোমধ্যে কয়েক জন ক্রিকেট ব্যক্তিত্বের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। বোর্ডের সম্ভাব্য সভাপতি হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে ফারুকই সবচেয়ে বেশ এগিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজ ১৮ আগস্ট (রবিবার) ফারুক আহমেদ বলেন, ‘এটা সত্যি, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাথে আমি বৈঠক করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে বিসিবিতে যেকোন ভাবে তিনি কাজ করতে বলেছিলেন এবং আমি বলেছি আপনি যদি বিশ্বাস করেন আমি এই পদের জন্য উপযুক্ত আমার কাজ করতে সমস্যা নেই।’
অবশ্য বোর্ডের সভাপতি হবার বিষয়ে সরাসরি কোন মন্তব্য করেননি ফারুক।
প্রধান নির্বাচক হিসেবে সাফল্যও আছে ফারুকের। বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ফারুক। বর্তমান কর্মকর্তাদের কাছে তার ভাবমূর্তি ইতিবাচক হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
কিন্তু বিসিবির গঠনতন্ত্রে স্পষ্টভাবে লেখা আছে পরিচালকদের মধ্য থেকে সভাপতি নির্বাচিত হবে। তবে এই ক্ষেত্রে সমাধানটি বেশ সহজ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মনোনীত পরিচালক হিসেবে বিসিবিতে আনা যেতে পারে ফারুককে। এরপর বিসিবি পরিচালকদের ভোটে তাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হবে।
তবে জালাল ইউনুস এবং আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববির মধ্যে যেকোন একজনের জায়গায় নেওয়া হবে ফারুককে। যারা এনএসসির মাধ্যমে বিসিবিতে পরিচালক হিসাবে এসেছেন।
পরিচালক ছাড়াও বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির দায়িত্বে আছেন জালাল ইউনুস এবং টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের পদে আছেন আহমেদ সাজ্জাদুল আলম।
ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হবার পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে এখনও দেখা যায়নি।
অর্ন্তবর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বিসিবি সভাপতি পদ নিয়ে চলমান অচলাবস্থা দ্রুত সময়ের মধ্যেই সমাধান করা হবে।
আজ ১৮ আগস্ট (রবিবার) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এটি সমাধান না হওয়ার আগে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না। আশা করি যত দ্রুত সম্ভব ভাল খবর পাবেন।’
দু’বার বিসিবির প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ফারুক। প্রথমবার ২০০৩ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন তিনি।