একে অপরকে বিয়ে করলেন দুই নারী,স্বামীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ

ডেস্ক রিপোর্ট: ঘটনাটি ভারতের। দেশটির উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের দুই নারী একে অপরকে বিয়ে করেছেন। তাদের নাম কবিতা এবং গুঞ্জা।
জানা গেছে, দু’জনের স্বামীই ‘অত্যাচারী’ এবং মাদকাসক্ত। দু’জনেই স্বামীর সংসার করতে করতে ক্লান্ত। তাই বাকি জীবন একে অপরের সঙ্গে কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তাদের ছ’বছর ধরে ‘বন্ধুত্ব’ ছিল। এক পর্যায়ে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মন্দিরে গিয়ে সিঁদুরদান, মালাবদল, সাত পাকের মতো নিয়মকানুন মেনেই একে অপরকে বিয়ে করেন তারা। ত্যাগ করেন স্বামীর সংসার।
নবদম্পতি জানিয়েছেন, তাদের দু’জনের স্বামীই মাদকাসক্ত। দিনের পর দিন মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে অত্যাচার করতেন তারা। স্ত্রীদের মারধর করতেন। নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত সংসারে। কবিতা এবং গুঞ্জার আলাপ হয় ইনস্টাগ্রামে। দু’জনের পারিবারিক পরিস্থিতি মিলে যায়। শুরু হয় গল্প, আড্ডা এবং বন্ধুত্ব। ছ’বছর ধরে এভাবেই কাটে তাদের। পরে একে অপরকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে গোরখপুরের শিবমন্দিরে যান। সেখানে কবিতার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন গুঞ্জা। তারা মালাবদল করেন, ঘোরেন সাত পাক। মন্দিরের পুরোহিত জানিয়েছেন, দুই মহিলা নিজেদের মতো মন্দিরে এসেছিলেন। নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে ধীরেসুস্থে আবার মন্দির থেকে চলে যান।
নবদম্পতির একজন জানিয়েছেন, তার চার সন্তান। মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে প্রায় প্রতিদিনই তার স্বামী তাকে মারধর করতেন। সংসারে শান্তি ছিল না। একাধিকবার বাপের বাড়িতেও চলে গিয়েছিলেন। অন্যজন নিঃসন্তান। সেই কারণে স্বামী তার উপর অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ।
বিয়ে তো হল। কিন্তু এরপর? আপাতত কবিতা এবং গুঞ্জার পাকাপাকি কোনও মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। তারা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকার কথা ভাবছেন। বাকি জীবন একে অপরের সঙ্গেই কাটাবেন বলে তারা বদ্ধপরিকর, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। সূত্র: টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে, ইন্ডিয়া টিভি, হিন্দুস্তান টাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *