বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের অত্যাচার, নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে চায় বিএনপি।
তিনি বলেন, দেশের সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশ গঠনের কঠোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
তিনি বলেন, দেশে দীর্ঘদিন স্বৈরাচার হাসিনা সরকার ক্ষমতায় ছিল। যে কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি দেশের মানুষের আস্থাহীনতা সৃষ্টি হতে পারে। দেশের সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গা ফিরিয়ে আনতে আমাদের নেতাকর্মীদের কাজ হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি সরকার গঠনে সক্ষম হলে যোগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রকাঠামোর বিভিন্ন স্তরে জনবল নিয়োগ করা হবে। স্বৈরাচার হাসিনার কিছু দোসর দেশের ব্যাংক খাত লুটতরাজ করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। আমরা ক্ষমতায় গেলে ব্যাংকিং খাতে অর্থনীতির নিয়মে সংস্কার করা হবে। যাতে দেশের অর্থনীতি মজবুত ও সুদৃঢ় হয়।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সিন্ডিকেট প্রথা ছিল। বিএনপি এই সিন্ডিকেট প্রথা ভেঙে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে দেশের মানুষের জন্য দেশিয় পণ্য প্রদান করা হবে।
এ ছাড়া নারীদের জন্য কার্ড প্রদান, শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, সামাজিক সুবিচারসহ কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
জেলা বিএনপির সহসভাপতি মুন্সি কামাল আজাদ পান্নুর সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক ড. মোরশেদ হাসান খাঁন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন, মো. আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, মিডিয়া সেলের সদস্য ও প্রশিক্ষক ফারজানা শারমিন পুতুল, বিএনপির সহতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমিরুজ্জামান খাঁন শিমুল, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান পাপ্পুসহ অনেকে।