খাওয়া নিয়ন্ত্রণ আর ব্যায়াম- ওজন কমানোর অন্যতম পন্থা। তবে এগুলোর সাথে আরও কিছু বিষয় যোগ করতে পারলে দেহের বাড়তি চর্বি কমানো যায় দ্রুত।
চুইংগাম চাবানো
‘ইউনিভার্সিটি অব রোড আইল্যান্ড’য়ের করা গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমসঅফইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, খাওয়ার আগে চুইংগাম চাবালে কম ক্যালরি গ্রহণে ভূমিকা রাখে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে এক ঘণ্টা চুইংগাম চাবানোর ফলে ক্ষুধা কমে আর দুপুরের খাবারে অন্তত ৬৭ ক্যালরির কম গ্রহণ করা হয়।
এক্ষেত্রে পুদিনা বা মিন্ট চুইংগাম বেশি উপকারী। কারণ এর সতেজকারী ঘ্রাণ ক্ষুধা কমাতে সহায়তা করে।
বড় এক গ্লাস পানি পান
আর্দ্র থাকা খুবই জরুরি বিশেষত, যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন। পানি পান আবেগের বশবর্তী হয়ে খাওয়ার ঝুঁকি কমায়।
অনেক সময় তৃষ্ণাভাব ক্ষুধা হিসেবে ভুল সংকেত দেয়। ফলে বাড়তি খাবার খাওয়া ও ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ে।
গ্লাসে পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বোতল থেকে পানি পান করলে সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা রাখা যায় না।
অনলাইনে বাজার করা
অনলাইনে খাবার কেনাকাটা করা সবচেয়ে ভালো। কারণ কেবল প্রয়োজ়নীয় জিনিস কেনা হয়। অযথা বা সখের বশে অস্বাস্থ্যকর খাবার কেনা থেকে বিরত থাকা যায়।
সাধারণত, বাজার থেকে জিনিস কিনতে গেলে পুরা দোকান ঘোরা হয় আর প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
গান শুনতে শুনতে ব্যায়াম করা
শরীরচর্চার সময় পছন্দের গান শুনলে উদ্দীপনা ও গতি বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
‘দা জার্নাল অব স্পোর্টস অ্যান্ড এক্সারসাইজ সাইকোলজি’র গবেষণা অনুযায়ী দ্রুতলয়ের, উৎসাহমূলক গান ব্যায়ামে উদ্দীপনা ও গতি বাড়ায়। এছাড়াও, এটা দীর্ঘক্ষণ শরীরচর্চা করতে ও বাড়তি ক্যালরি কমাতে সাহায্য করে।
সুপ বা সালাদ খাওয়া
কম ক্যালরি গ্রহণ করার আরেকটি সহজ উপায় হল ভারী খাবার খাওয়ার আগে ঝোল ভিত্তিক সুপ বা এক বাটি সালাদ খাওয়া।
সুপ ও সালাদ স্বাস্থ্যকর। আর যে কোনো ভারী খাবারের আগে গ্রহণ করলে ২০ শতাংশ কম ক্যালরি গ্রহণে সহায়তা করে।
এছাড়াও, লাল আপেল খাওয়া সার্বিকভাবে কম ক্যালরি গ্রহণে ও ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে।