নিজের মায়ের একটি কথাও প্রসঙ্গক্রমে শোনান শ্রেয়া, ‘মা আমায় বলেছেন, এই সিরিজ করার সময় যা কিছু আমি শিখেছি, তা যেন সারা জীবন আগলে রাখি। আর আনন্দ (তিওয়ারি) স্যার বলেছিলেন, পুরো জনসংখ্যার মধ্যে আমরা সেই ১ শতাংশ মানুষ, যাঁরা এই সিরিজের অংশ হওয়ার সুযোগ পেয়েছি।

এর চেয়ে বড় সফলতা আর কীই-বা হতে পারে। “বন্দিশ ব্যান্ডিটস” আমার সামনে অনেকগুলো দরজা খুলে দিয়েছে। এটাই আমার সফলতার কাহিনি বলতে পারেন।’

আর এই ভ্রমণের মধ্য দিয়ে আগামী দিনেও বাঁচতে চাই।’ এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘দেখুন, জীবন মানেই কঠিন। আর যেকোনো পথে চড়াই-উতরাই থাকবেই। নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে সবাইকে নানান কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। তবে পরিশ্রমই শেষ কথা। জীবনে সাফল্য পেতে হলে পরিশ্রম করতেই হবে।’
তারকা নয়, শুধু অভিনেত্রী হওয়ার আশায় রাজস্থান থেকে মুম্বাইয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া। শুরুতে মা–বাবার সমর্থন ছিল না। তবে তাঁর ভাই সবচেয়ে বড় সমর্থক ছিলেন। শ্রেয়া বলেন, ‘ভাইয়াই আমাকে আমার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন। তবে আজ আমার সাফল্যে মা–বাবা খুব খুশি।’

ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলা করতে ভালোবাসেন শ্রেয়া। আর তাই বরাবরই তিনি প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী। প্রতিযোগিতার প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান, ‘অভিনয়ের জগতে যাঁরা আছেন, তাঁরাই আমার প্রতিযোগী। তবে শেষ পর্যন্ত নিজের সঙ্গেই আমার প্রতিযোগিতা। নিজেকে আরও ভালো করার প্রতিযোগিতা আমি অন্তর থেকে অনুভব করি।’
স্বল্প সময়ের অভিনয়জীবনে মনীষা কৈরালা, নাসিরুদ্দিন শাহ, অতুল কুলকার্নি, দিব্যা দত্তর মতো শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করেন শ্রেয়া। তাঁর ভাষ্যে, ‘তাঁদের সামনে থেকে দেখা মানেই তো এক অনন্য অভিজ্ঞতা। প্রত্যেকের থেকেই কিছু না কিছু শিখেছি। এসব অভিনেতার সান্নিধ্যে এসে অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পেরেছি।’