বর্তমানে ওজন কমানোর জন্য অনেকেই ইনজেকশনের সাহায্য নিচ্ছেন। বিশেষ করে ‘ওজন কমানোর ইনজেকশন’ নামে পরিচিত কিছু ওষুধ সম্প্রতি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে এই ইনজেকশন কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
কি এই ওজন কমানোর ইনজেকশন?
ওজন কমানোর ইনজেকশন মূলত এমন কিছু ওষুধ যা ইনসুলিনের মতো কাজ করে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সেমাগ্লুটাইড ও লিরাগ্লুটাইড, যা মূলত টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতো। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এগুলো ওজন কমাতেও কার্যকর।
নিরাপত্তা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন কমানোর ইনজেকশন ব্যবহারের ফলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:
বমি বমি ভাব
মাথা ঘোরা
পেটের সমস্যা
কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া
কিছু ক্ষেত্রে হরমোনজনিত সমস্যা
বিশেষজ্ঞদের মতামত
ডাক্তাররা বলছেন, এই ইনজেকশন ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস, থাইরয়েড বা অন্য কোনো দীর্ঘমেয়াদী রোগ আছে, তাদের জন্য এটি বিপদজনক হতে পারে। এছাড়া, দীর্ঘদিন এই ইনজেকশন ব্যবহার করলে শরীর এর প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারে।
প্রাকৃতিকভাবে ওজন কমানোর বিকল্প
ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়াম সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
প্রাকৃতিকভাবে ওজন কমাতে যা করা যেতে পারে:
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা
চিনি ও প্রসেসড ফুড পরিহার করা
নিয়মিত ব্যায়াম করা
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা
ওজন কমাতে ইনজেকশন ব্যবহার কিছু ক্ষেত্রে কার্যকর হলেও এটি কোনো দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই এটি ব্যবহার করা উচিত। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর ওজন কমানোর জন্য সুষম খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের বিকল্প নেই।