১ মিনিটের এই সহজ পরীক্ষায় জেনে নিন আপনার শরীরের বয়স কত

২০২৪ সালের আগস্টে ‘নেচার এজিং’–এ প্রকাশিত এক গবেষণা বিশ্বব্যাপী রীতিমতো সাড়া ফেলে দেয়। এই গবেষণায় জানা যায়, মাত্র ১ মিনিটের একটি সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে বলে দেওয়া সম্ভব, আপনার শরীরের সত্যিকারের বয়স আদতে কত

এই গবেষণায় আরও একটা দারুণ বিষয় জানা গেছে। সেটা হলো, মানুষের বয়স জীবনের দুটি সময়ে ‘হুট করে’ বেড়ে যায়। অর্থাৎ দুটি বয়সে মানুষ বেশি বয়স্ক হয়ে পড়ে। এক. ৪৪ বছর বয়সে, দুই. ৬০ বছর বয়সে।

নারী-পুরুষ যেকোনো লিঙ্গের মানুষের জন্য এই পরীক্ষা প্রযোজ্য। বলা হচ্ছে, শরীরের বয়স জানার জন্য এর চেয়ে সহজ ও নিখুঁত উপায় আর একটিও নেই। চলুন, চট করে জেনে নেওয়া যাক, যেভাবে আপনার শরীরের বয়স নির্ণয় করবেন।

পরীক্ষার নিয়ম

বলা হচ্ছে, শরীরের বয়স জানার জন্য এর চেয়ে সহজ ও নিখুঁত উপায় আর একটিও নেই

  • এক পায়ে সোজা হয়ে দাঁড়ান। অন্য পা-টি কোথাও হেলান বা ভর না দিয়ে উঁচু করে রাখুন (হ্যাঁ, ক্লাসে পড়া না পারলে শিক্ষকেরা যেভাবে এক পায়ে দাঁড় করিয়ে রাখতেন, ওভাবেই)।
  • চোখ খোলা রাখুন। আর দুই হাত রাখুন কোমড়ে।
  • এবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে খেয়াল করুন, কতক্ষণ এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন। ১ মিনিট বা ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন কি?

  • ৬০ সেকেন্ড বা এর বেশি এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলে আপনার বয়স ১৮–৩৯ বছরের মধ্যে।
  • ৪৫–৫০ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকতে পারলে আপনার শরীরের বয়স ৪০–৪৯ বছর।
  • ৪০ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকতে পারলে আপনার বয়স ৫০–৫৯ বছর।
  • ৩৫ সেকেন্ড এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পেরেছেন? তার মানে আপনার শরীরের বয়স ৬০–৬৯ বছর।
  • ২০ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকতে পারার মানে হলো আপনার বয়স ৭০–৭৯ বছরের মধ্যে।
  • অন্তত ১০ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকতে পারলে আপনার শরীরের বয়স ৮০ বছরের বেশি।
  • ১০ সেকেন্ডও এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে না পারলে আপনার শরীর একেবারেই আনফিট। আপনি ঠিকমতো হাঁটতেও সমর্থ নন। কারও সহায়তা ছাড়া হাঁটলে যেকোনো সময় ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যেতে পারেন।

সাধারণত বয়স ৪০ হয়ে গেলে মানুষ ভারসাম্য হারাতে থাকে। অর্থাৎ ১ মিনিট ১ পায়ে দাঁড়ানোর মতো ফিটনেস থাকে না। তবে আপনার লক্ষ্য থাকবে ৪০ বছরের পরেও ভারসাম্য ঠিক রাখা, ১ মিনিট এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত হাঁটা, শারীরিক পরিশ্রম করা, ঠিকমতো ঘুমানো, দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপনের ফলে আপনি ৫০ বছর বয়সেও শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *