আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমের তৃতীয় স্ত্রী রিয়ামনি ও বার ড্যান্সার ম্যাক্স অভি রিয়াজকে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার রাতের এই ঘটনার একটি ভিডিও এরইমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
কয়েক মাস আগে, রিয়ামনি ও অভির অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছিলেন হিরো আলম। বিষয়টি ঘিরে তুমুল আলোচনা হয়। এরই মধ্যে গতকাল রিয়ামনি ও ম্যাক্স অভিকে হাতেনাতে ধরার অভিযোগ করেন হিরো আলম।
সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ম্যাক্স অভিকে টেনেহিচড়ে গাড়িতে তুলছে পুলিশ।
জানা গেছে, ম্যাক্স অভি ও রিয়ামনিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
হিরো আলমের অফিস স্টাফ সেলিম জানিয়েছেন, গতকাল রামপুরার উলন রোডের বাড়িতে গিয়ে দুজনকে হাতেনাতে ধরেছেন হিরো আলম। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে আসছিলেন। যেহেতু বাসাটা হিরো আলম ভাড়া নিয়েছিলেন, তাই তাকে ফোন দিয়ে প্রায়ই অভিযোগ করতেন এলাকাবাসী। কিছুদিন পরপরই রিয়া মনির বাসায় অবস্থান করতেন ম্যাক্স অভি রিয়াজ।
দুজনের এ অনৈতিক সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে হিরো আলমকে অবগত করেন এলাকাবাসী। তাই গতকাল হিরো আলম হাজির হন বাসায়। একপর্যায়ে হিরো আলমকেই মারধর ও হেনস্তা করেন রিয়া মনি। এরপর এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে গণধোলাই দেন রিয়া মনি ও ম্যাক্স অভি রিয়াজকে। এরপর পুলিশ এসে দুজনকে আটক করে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যায়। আজ কোর্টে চালান করা হবে দুজনকে।
এর আগে গতকাল বিকেলে হিরো আলমের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে রিয়ামনির সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে দেখা যায় তাকে। এ সময় ম্যাক্স অভিকেও খালি গায়ে দেখা যায়। হিরো আলম অভিযোগ করে বলেন, দুজনকে হাতেনাতে ধরেছেন তিনি। হিরো আলমের সঙ্গে এখনো ডিভোর্স সম্পন্ন হয়নি রিয়ামনির। তাই দুজনের এ অনৈতিক সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় হিরো আলমকে মারধর করে রিয়ামনি। এরপর এলাকাবাসী রিয়া মনি ও ম্যাক্স অভি রিয়াজকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
গত এপ্রিলে, বাবার মৃত্যুর সময় হিরো আলম অভিযোগ তোলেন, তার বাবার দেখভাল করেন না স্ত্রী রিয়ামনি। এ জন্য তিনি রিয়ামনিকে ডিভোর্সের ঘোষণা দেন। তখনই সামনে আসে ম্যাক্স অভি রিয়াজের অধ্যায়। অন্যদিকে ম্যাক্স অভির স্ত্রী ইতিও অভিযোগ করেন, তার স্বামীর সঙ্গে রিয়া মনির অবৈধ সম্পর্কের কারণেই ঘর ভেঙেছে তারও। হিরো আলম ও ইতি একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনও করেন। রিয়া মনির সঙ্গে হিরো আলমের ডিভোর্সের প্রক্রিয়া চলমান।