কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে যেসব খাবারে

কিডনিতে পাথর হওয়ার কথা অনেক আগে থেকে শোনা যেত। বর্তমানে এই সমস্যাটি যেন অনেকটাই বেড়ে গেছে। চিকিৎসকদের মতে, এর নেপথ্যে খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা অপরিসীম। এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে বেড়ে যায়।

কী সেসব খাবার, জেনে রাখুন—পালং শাক ও কিছু সবজি: পালং শাক, বিট, রাঙা আলু ও পুঁই শাকের মতো শাক-সবজিতে অক্সালেট নামের একটি পদার্থের মাত্রা খুব বেশি থাকে। এই অক্সালেটই মূলত কিডনিতে জমাট বেঁধে ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর তৈরি করে।

বাদাম ও বীজ: কাজু বাদাম, চীনা বাদাম ও বিভিন্ন ধরনের বীজেও অক্সালেটের পরিমাণ বেশি। তাই বৃক্ক সুরক্ষিত রাখতে এগুলো মেপে খাওয়াই উত্তম।

অতিরিক্ত লবণ: চিপস, চানাচুর, সস বা যেকোনো প্রক্রিয়াজাত খাবারে অতিরিক্ত লবণ দেওয়া থাকে। আর এই লবণে থাকা সোডিয়াম কিডনিকে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম নিষ্কাশন করতে বাধ্য করে। এর ফলে প্রস্রাবে ক্যালসিয়ামের ঘনত্ব বেড়ে যায় এবং পাথর জমার ঝুঁকি বাড়ে।

রেড মিট: লাল রঙের মাংসে পিউরিন নামের একটি উপাদান থাকে। এই পিউরিন ভেঙে ইউরিক এসিড তৈরি হয়। রক্তে ও প্রস্রাবে ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়লে কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।

কোল্ড ড্রিঙ্কস: অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় বা প্যাকেজজাত ফলের রসে থাকা অতিরিক্ত চিনি ক্যালসিয়ামের বিপাক ক্রিয়ায় বাধা দেয় এবং কিডনিতে পাথর তৈরির ঝুঁকি বাড়ায়।অতিরিক্ত দুধ: দুধ, পনির ও দই ক্যালসিয়ামের চমৎকার উৎস। হাড় ভালো রাখতে জরুরি এসব খাবার।

কিন্তু প্রয়োজনের বেশি খেলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে। অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম অক্সালেটের সঙ্গে জুড়ে গিয়ে পাথর তৈরি করতে পারে।
কফি ও চা: দিনে দুই বা তিন কাপের বেশি চা বা কফি পান করলে তা ডিহাইড্রেশনের সৃষ্টি করে। আর শরীর পানিশূন্য হয়ে গেলে প্রস্রাব ঘন হয়ে যায়। ঘন প্রস্রাবে খনিজ লবণ জমাট বেঁধে পাথর হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *