বিয়ের আগে মেয়ে সোহাকে যে পরামর্শ দেন মা শর্মিলা ঠাকুর

সোহা জানান, বিয়ের আগে মা তাকে বলেন, “পুরুষ মানুষের অহংবোধ থাকে, সেটা স্ত্রীর বুঝে চলা উচিত। আবার পুরুষদেরও নারীর আবেগকে গুরুত্ব দিতে হবে।”

শুধু পরামর্শই নয়, এ কথার পেছনে ছিল এক গভীর জীবনদর্শন। শর্মিলা ঠাকুর চেয়েছিলেন মেয়ে যেন সম্পর্কে পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়ার গুরুত্ব বোঝে। সোহা মনে করেন, মায়ের দেওয়া এ কথাগুলোই তাদের সংসারকে করেছে আরও মজবুত ও ভারসাম্যপূর্ণ।

বন্ধু নেহা ধুপিয়ার বিয়ের সময়ও সোহা এই একই পরামর্শ দেন তাকে। অর্থাৎ, এটি যেন এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে চলতে থাকা সম্পর্কের পাঠ।

উল্লেখ্য, শর্মিলা ঠাকুর নিজেও জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিয়ে করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মনসুর আলি খান পতৌদিকে। সে সময় টিনসেল টাউনে আলোচনা উঠেছিল- খ্যাতিমান নায়িকা নিজের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিলেন কি না! কিন্তু শর্মিলা প্রমাণ করেছিলেন, বিয়ে মানেই সবকিছুর ইতি নয়। বরং, ক্যারিয়ার ও সম্পর্ক দুটোই সামলানো যায় সমান দক্ষতায়।

আজ সোহা ও কুনাল তাদের ১০ বছরের দাম্পত্য জীবন উদযাপন করছেন। আর সে সম্পর্কের মূলে রয়েছে এক মায়ের বাস্তবভিত্তিক ও সংবেদনশীল পরামর্শ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *