ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ হামলায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ২৬ জনে, যার অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ জন।
গাজা সিটির বাজারে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। নিহতদের মধ্যে আছেন খ্যাতনামা চিকিৎসক আহমেদ কান্দিল। অন্যদিকে, নুসেইরাতে পানি সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের ওপর চালানো হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন।
গাজায় চলমান ইসরায়েলি অবরোধের কারণে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ডেসালিনেশন প্ল্যান্ট ও পানির শোধনাগারগুলো বন্ধ হয়েছে। বহু বাসিন্দা এখন হাঁটাহাঁটি করে সীমিত পানি সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।
জাতিসংঘ শিশু সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, জুন মাসে গাজায় ৫ হাজার ৮০০ শিশু অপুষ্টিতে আক্রান্ত, যার মধ্যে ১ হাজার চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। রবিবার ৭ মাস বয়সী সালাম নামে একটি শিশু অপুষ্টির কারণে মারা যায়।
জাতিসংঘের আটটি সংস্থা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্বালানি প্রবেশ করতে না দেওয়া হয়, তাহলে হাসপাতাল, পানি সরবরাহ, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
গাজার সরকার জানিয়েছে, মার্কিন সমর্থিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনী এবং নিরাপত্তা ঠিকাদাররা সচেতনভাবে হামলা চালাচ্ছে। এসব কেন্দ্রে খাবার আনতে গিয়ে মে থেকে এখন পর্যন্ত ৮০৫ জন নিহত ও ৫ হাজার ২৫০ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে দোহায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ৬০ দিনের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি স্থবিরতায় পড়েছে। উভয়পক্ষই পরস্পরকে দোষারোপ করছে।
ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের উপনেতা মুহাম্মদ আল-হিনদি বলেছেন, ইসরায়েল মূল দাবি পাশ কাটিয়ে বন্দিদের নিয়ে আলোচনায় যেতে চায়। আমরা আত্মসমর্পণের মতো কোনো চুক্তি করব না।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর উপদেষ্টা জনাতান উরিখের বিরুদ্ধে সামরিক গোপন তথ্য একটি জার্মান সংবাদমাধ্যমে ফাঁসের অভিযোগে মামলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল গালি বাহারাভ-মিয়ারা।