শ্যালিকার সঙ্গে প্রেম, জামাইয়ের শিরশ্ছেদ করলেন শ্বশুর

শ্যালিকার সঙ্গে গোপন প্রেম ও সম্পত্তিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে শ্বশুরের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন এক ব্যক্তি। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হননি অভিযুক্ত—মেয়ে জামাইকে শিরশ্ছেদ করে তার দেহ খণ্ড-বিখণ্ড করে ফেলেন তিনি। ভয়ংকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে। খবর এনডিটিভির।

খবরে বলা হয়, নিহত ব্যক্তির নাম বিশ্বনাথ। রাজ্যের ধর্মভরম এলাকার বাসিন্দা তিনি। বিশ্বনাথ ২০ বছর আগে ভেনকাটামনাপ্পার বড় মেয়ে শ্যামলাকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তিনি শ্যালিকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

এই পরকীয়া সম্পর্কের কারণে পারিবারিক কলহ তীব্র আকার ধারণ করে—বিশ্বনাথ ও তার স্ত্রীর মধ্যে যেমন- তেমনি ভেনকাটামনাপ্পা ও তার স্ত্রীর মধ্যেও কলহের সৃষ্টি করে। শেষপর্যন্ত বিশ্বনাথ তার শাশুড়ি ও শ্যালিকে নিয়ে এলাকা ছেড়ে চরে যান এবং পার্শবর্তী কাদিরি শহরে গিয়ে বসবাস শুরু করেন।

এরপর তিনি শাশুড়ির নামে থাকা একটি জমি বিক্রির চেষ্টা করেন, যা শ্বশুর ভেনকাটামনাপ্পাকে আরও ক্ষিপ্ত করে তোলে।

পুলিশ জানিয়েছে, ভেনকাটামনাপ্পা পরিকল্পিতভাবে জামাতাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন এবং বন্ধু কাটামাইয়ার সহায়তায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। তিনি বন্ধুকে হত্যার বিনিময়ে ৪ লাখ রুপি দেন।

গত ৩ জুলাই কৃষিকাজের জন্য ৫০ হাজার রুপি অর্থ সহায়তার প্রলোভন দেখিয়ে কাটামাইয়া বিশ্বনাথকে কাদিরি থেকে মুদিগুব্বাতে ডেকে আনেন। সেখানে পৌঁছানোর পরই ভেনকাটামনাপ্পা, কাটামাইয়া ও আরও তিন সহযোগী মিলে বিশ্বনাথকে পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে গিয়ে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেন এবং তার দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে দেন।

ঘটনার তদন্তে নামা পুলিশ মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের উপস্থিতি একই স্থানে শনাক্ত করে এবং তাদের গ্রেপ্তার করে। এই হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতা ঘিরে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

পুলিশ বলছে, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত এবং পেশাদার কায়দায় সংঘটিত হত্যা। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে এবং মামলার তদন্ত চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *