নিশ্চিত হওয়া দলগুলো
ইতোমধ্যে ১৮টি দল নিশ্চিত করেছে অংশগ্রহণ। আয়োজক দেশগুলো—যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো—স্বয়ংক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, উরুগুয়ে, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর ও প্যারাগুয়ে নিশ্চিত করেছে তাদের টিকিট। এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, অস্ট্রেলিয়া এবং প্রথমবারের মতো যোগ দিচ্ছে জর্ডান ও উজবেকিস্তান। আফ্রিকা থেকে মরক্কো ও তিউনিসিয়া যোগ করেছে নিজেদের নাম। এছাড়া নিউজিল্যান্ডও ওশেনিয়ার অংশগ্রহণকারী হিসেবে নিশ্চিত হয়েছে।
এশিয়ার নতুন চমক
এশিয়ার বাছাই পর্বে জর্ডান ও উজবেকিস্তান প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেল। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান ও অস্ট্রেলিয়া তাদের অভিজ্ঞ দল এবং তারকাদের সঙ্গে মাঠে নামবে। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে সন হিউং-মিন, উজবেকিস্তানের তরুণ তারকা, জাপানের কুবো ও মিতোমা, অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ ফুটবলাররা বড় মঞ্চে ভালো করার চেষ্টা করবে।
আফ্রিকা ও ওশেনিয়া
মরক্কো এবং তিউনিসিয়া আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেছে। মরক্কোর লক্ষ্য ২০২২ সালের সেমিফাইনালের স্মৃতি পুনরায় জীবন্ত করা। নিউজিল্যান্ড তিনবারের ইতিহাসে তৃতীয়বারের জন্য বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে, যা তাদের ১৬ বছরের অনুপস্থিতির পর বড় সুযোগ হিসেবে বিবেচিত।
বাকি দল ও অপেক্ষা
ইউরোপ (UEFA) থেকে মোট ১৬ দল অংশ নেবে, তবে বাছাই পর্ব শেষ না হওয়ায় এখনো কোনো দল নিশ্চিত হয়নি। আফ্রিকার কিছু দল, এশিয়ার আরও দুই দল, এবং কনকাকাফের বাকি বাছাই ম্যাচ শেষ না হওয়ায় উত্তেজনা এখনও চলমান রয়েছে।
নতুন ৪৮ দলের ফরম্যাটে গ্রুপ পর্যায়ের প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হবে। লাতিন আমেরিকার ক্লাসিক, এশিয়ার নতুন সম্ভাবনা এবং আফ্রিকার ক্রমবর্ধমান শক্তি—সব মিলিয়ে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ হবে এক নজিরবিহীন উৎসব।
ফুটবলপ্রেমীরা এখন কেবলই উত্তেজনার অপেক্ষায়। কারা ইতিহাস গড়ে দেবে, কোন নতুন তারকা আলো ছড়াবে, আর কোন দল চমক দেখাবে—সবই দেখার থাকবে উত্তর আমেরিকার মাঠে।