কাঠমান্ডুতে সোমবার বিক্ষোভরত তরুণরা হতাহতের খবরে দেশজুড়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ওই দিন জেন-জি বিক্ষোভের সময় পুলিশ অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করলে কাঠমান্ডুতে কমপক্ষে ১৭ জন এবং ইটাহারিতে দুজন বিক্ষোভকারী নিহত হন। ৪০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করে সরকার; কিন্তু তরুণরা দমে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নতুন নতুন এলাকায় সংগঠিত হচ্ছেন তারা।
দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট জানায়, সরকারি দমন-পীড়নের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ভোর থেকে কলঙ্কি, চাপাগাঁও এবং অন্যান্য স্থানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনের সামনে পুলিশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
কর্তৃপক্ষ কাঠমান্ডু, ললিতপুর এবং ভক্তপুর জেলা জুড়ে কারফিউ জারি করেছে। কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন অফিস সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রিং রোডে কারফিউ ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে বালকুমারী সেতু, কোটেশ্বর, সিনামঙ্গল, গৌশালা, চাবাহিল, নারায়ণ গোপাল চক, গঙ্গাবু, বালাজু, স্বয়ম্ভু, কলঙ্কি, বলখু এবং বাগমতী সেতু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ওই সব এলাকায় ১৯৭১ সালের স্থানীয় প্রশাসন আইনের ৬(৩) ধারার অধীনে সব ধরনের চলাচল, সমাবেশ, মিছিল, সভা এবং অবস্থান ধর্মঘট নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আজ সকালে নতুন বানেশ্বরে সংসদ ভবনের কাছে যুবকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে জড়ো হচ্ছেন। তারা কোনো ব্যানার বহন করছেন না। আজ তরুণদের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সের নাগরিকদের দেখা যাচ্ছে। মধ্যবয়স্ক এক অংশগ্রহণকারী বলেন, গতকালের ঘটনা সরকারের ব্যর্থতা প্রকাশ করেছে। আমি এখানে তরুণদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি।