জনতার কণ্ঠ নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধের পর দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। কবে খুলতে পারে, সে বিষয়ে আগামী রোববার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ওই দিন আন্তমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের খোলার বিষয়ে পর্যালোচনা করার জন্য রোববার আন্তমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়েছে। কারণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত কেবল শিক্ষা মন্ত্রণালয় একা নিতে পারবে না।
করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি চলছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি আছে। জাতিসংঘ শিশু তহবিল বা ইউনিসেফের গত ২৪ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এর কারণে স্কুল বন্ধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম দেশ। দীর্ঘ বন্ধের ফলে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রায় সবকিছু খুলে দেওয়ার পর এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। ১৮ আগস্ট সচিব সভায় করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ও টিকা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২৬ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক সভায় পরিকল্পনা করা হয়, টিকা দেওয়া দেওয়া সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরা আগামী ১৫ অক্টোবরের পর থেকে খুলতে পারবে।
আর উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায় কি না, সে বিষয়ে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শ নেওয়া হবে। সেদিনের সভাতেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে শিগগির আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হবে, যা আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে। এই সভাতেই বিস্তারিত আলোচনা করে খোলার সিদ্ধান্ত হতে পারে।