আরও ১০ কোটি চীনা টিকা কিনছে সরকার

জনতার কণ্ঠ ডেস্ক: কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এই টিকা কেনা হবে। আজ সারা দেশে গণটিকাদানের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।

চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের প্রায় ১০ কোটি করোনার টিকা কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এই টিকা কেনা হচ্ছে। সাশ্রয়ী মূল্যে কেনা এসব টিকা আগামী অক্টোবর থেকে দেশে আসার কথা রয়েছে। ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং জেনেভার কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য কোভ্যাক্সের ২০ শতাংশ বরাদ্দ অনুযায়ী বাংলাদেশের ৬ কোটি টিকা বিনা মূল্যে পাওয়ার কথা। এর মধ্যে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ১ কোটি ২৫ লাখ টিকা পেয়েছে। চলতি মাসে আরও ৬০ লাখ টিকা আসার কথা রয়েছে।

কোভ্যাক্স বিনা মূল্যে টিকা দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশকে বাণিজ্যিকভাবে টিকা কিনতে সমন্বয়কারীর ভূমিকাও পালন করে। এই বৈশ্বিক উদ্যোগের মাধ্যমে ১০ কোটি ৪০ লাখ টিকা কেনা হলে সব মিলিয়ে একই উৎস থেকে বাংলাদেশ সাড়ে ১৬ কোটি টিকা পাবে।

জানতে চাইলে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল সোমবার সকালে বলেন, কোভ্যাক্স থেকে এ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের উপহারের টিকা পাওয়ার কথা। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে টিকা কেনার কথা ছিল। এখন সেই টিকা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আগেভাগে কেনা হচ্ছে। তিনি জানান, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে কেনা টিকা অক্টোবর থেকে দেশে পৌঁছানো শুরু হতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও কোভ্যাক্সের মাধ্যমে টিকা কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা প্রথম আলোকে বলেন, বছরের শেষ প্রান্তিক থেকে ১০ কোটির বেশি টিকা দেশে আসার কথা রয়েছে। এই টিকা হবে চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের।

দরিদ্র দেশগুলোতে টিকাদান নিশ্চিতের বৈশ্বিক জোট গ্যাভির ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কোভ্যাক্স ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৯০ কোটি টিকা বিভিন্ন দেশে বিতরণ করতে চায়।

জেনেভার কূটনৈতিক সূত্রগুলো এই প্রতিবেদককে জানিয়েছে, কোভ্যাক্সের টিকা সংগ্রহের ৬০ শতাংশ উৎস ছিল ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট।

সেরাম থেকে না পেয়ে কোভ্যাক্স বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা সংগ্রহে জোর দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গত জুলাইয়ে গ্যাভি চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের টিকা কেনার জন্য আগাম ক্রয় চুক্তি করে। গ্যাভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেথ বার্কলের বরাত দিয়ে ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, চীনের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তির ফলে কোভ্যাক্সের অংশীদারেরা খুব শিগগির টিকা হাতে পাবে।

উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কোভ্যাক্সকে সাশ্রয়ী মূল্যে টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করার একধরনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে টিকা কিনবে, তা স্বল্প মূল্যে পাওয়া যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *