জনতার কণ্ঠ স্টাফ রিপোর্টার: বাল্যবিয়ে বন্ধ করে ফিরছেন ইউএনও খাতুনে জান্নাত। বাগেরহাটের শরণখোলায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে স্কুলছাত্রী তারিন আক্তার (১৬)। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই প্রশাসন ওই বাড়িতে হাজির হয়। এসময় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কনের পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে চলছিল এই বাল্যবিয়ের আয়োজন। কিশোরী তারিন ওই গ্রামের দুলাল ফকিরের মেয়ে। সে স্থানীয় রসুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
মেয়ের মা শিরিন বেগম জানান, বখাটে ছেলেরা তার মেয়েকে আজেবাজে কথা বলে। মোবাইলে বিভিন্ন রকম হুমকি দেয়। কিন্তু দরিদ্র পরিবারটির প্রতিবাদ করার সাহস নেই। তাই নিরাপত্তার অভাবে মেয়েকে অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। পাশের জানেরখালপাড় এলাকার দেলোয়ার হাওলাদারের ছেলে রফিক হাওলাদারের সাথে বিয়ে ঠিক হয় মেয়ে তারিনের। তবে এমন বাল্যবিয়ে অহরহ হচ্ছে বলেও জানায় এলাকাবাসী।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাতুনে জান্নাত বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিনের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের খবর পাই। বর আসার আগেই আমরা বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হওয়ায় মেয়েটি রক্ষা পায়। প্রশাসন আসার খবর পেয়ে মেয়ের বাবা আগেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
বাল্যবিয়ের অপরাধে মেয়ের মা শিরিন বেগমকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিতে পারবেন না বলেও মুচলেকা দিয়েছেন তিনি। এ ধরনের বাল্যবিয়ে যাতে কোথাও না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তিনি।