জনতার কণ্ঠ নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় মেঘনা নদীতে বালুবাহী নৌকার সঙ্গে যাত্রীবাহী স্পিডবোটের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত তিন যাত্রী। ঘটনার পর থেকে স্পিডবোটচালক রুবেল মিয়া নিখোঁজ। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার মরিচাকান্দি লঞ্চঘাটের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের ইউনুছ মিয়ার ছেলে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান জুয়েল (৩৫) ও নরসিংদী সদর উপজেলার সঙ্গীতা এলাকার জুলফু মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়া (৪৫)।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বাঞ্ছারামপুর পল্লী বিদ্যুতের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আহমেদ শাহরিয়ার, ফুটবল খেলোয়াড় সুমন সরকার ও স্থানীয় বাসিন্দা রাকিব মিয়া। আহমেদ শাহরিয়ারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। স্পিডবোটের নিখোঁজ চালক রুবেল উপজেলার মরিচাকান্দি গ্রামের খুরশিদ মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নরসিংদী থেকে ১০-১২ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দির উদ্দেশে রওনা হয়। উপজেলার মরিচাকান্দি লঞ্চঘাটের সামনে মেঘনা নদীতে বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী নৌকার সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। সে সময় এলাকাবাসী নদী থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মাহবুবুর রহমানকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। আর ফরিদ মিয়াকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্পিডবোটের আহত যাত্রী সুমন সরকার বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে খেলা শেষে নরসিংদী থেকে আমরা বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি দিকে রওনা হই। চালককে বারবার বলার পরও তিনি টর্চলাইট নেননি। অন্ধকারে স্পিডবোটে করে আমাদের নিয়ে এসেছেন। মরিচাকান্দি ঘাটের কাছে বালুবাহী নৌকার সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। আমরা সবাই পানিতে তলিয়ে যাই। পরে এলাকাবাসী এসে আমাদের উদ্ধার করে। আমি কোনোরকমে বেঁচে গেছি।’
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিখোঁজ স্পিডবোট চালকের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আজ রোববার সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।