চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাহবুবুল হকের বিরুদ্ধে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ তুলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে যোগদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে

(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)জনতার কণ্ঠ নিজস্ব প্রতিবেদক: বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতি করে চাকরি নেওয়ার সত্যতা পাওয়ার পর প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে ছয় মাস আগে। এরপরও চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের হরিমোহন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহবুবুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ভুয়া সনদে ১৪ বছর ধরে চাকরি করা ওই শিক্ষকের সনদ জালিয়াতির বিষয়টি আলোচনায় আসে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রশিদকে তদন্তের দায়িত্ব দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়। তদন্ত শেষে তিনি গত ৮ এপ্রিল মাউশির রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রশিদ বলেন, মাহবুবুল হকের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরির বয়সসীমা পার হয়ে যাওয়ায় তাঁর বাবার নামের সঙ্গে মিল থাকা এক বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ তুলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২০০৭ সালের ৬ জানুয়ারি চাকরিতে যোগদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ২০১২ সালে হরিমোহন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। তদন্তে সনদ জালিয়াতির সত্যতা মিলেছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে ছয় মাস আগে। এখন কর্তৃপক্ষই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির সত্যতা পাওয়ার পরও হরিমোহন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক মাহবুবুল হক স্কুলেও আসছেন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুহুল ইসলাম।
তবে মাহবুবুল হক বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।
আর মাউশির পরিচালক বেলাল হোসেন বলেছেন, ওই শিক্ষকের (মাহবুবুল) বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *