জনতার কণ্ঠ ডেস্ক : কান ফোঁড়ানোর স্থানে, ব্রণ গেলে দিলে, বুক ও পিঠে নখের আঁচড় লাগলে অথবা ছোটখাটো অস্ত্রোপচারের পর এটি হতে পারে। এমনকি পুড়ে গেলে দগ্ধস্থানে কিলয়েড হতে পারে।
কিলয়েড হলো শরীরের কোনো ক্ষতস্থানে প্রয়োজনের বেশি কোলাজেন (মানবশরীরে সৃষ্ট প্রাকৃতিক প্রোটিন) জমে যাওয়ার ফলে বেড়ে ওঠা একধরনের স্কার টিস্যু। এটি সাধারণত ব্যথামুক্ত হয়। তবে এতে কিছুটা চুলকাতে পারে। সাধারণত কানের লতি, বুক ও পিঠের ওপরের অংশ, কাঁধে ও গলায় এটি বেশি হতে দেখা যায়।
কাদের বেশি হয় ডার্ক স্কিন বা শ্যামলা থেকে কালো ত্বকের মানুষদের এটা বেশি হতে দেখা যায়। এ ছাড়া ১০-৩০ বছর বয়সীদের এটি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাক।
কীভাবে হয় সামান্য ক্ষত থেকে কিলয়েড হতে পারে। যেমন কান ফোঁড়ানোর স্থানে, ব্রণ গেলে দিলে, বুক ও পিঠে নখের আঁচড় লাগলে অথবা ছোটখাটো অস্ত্রোপচারের পর এটি হতে পারে। এমনকি পুড়ে গেলে দগ্ধস্থানে কিলয়েড হতে পারে।
চিকিৎসা:
এর নানা ধরনের চিকিৎসা আছে। এসবের মধ্যে বেশি প্রচলিত হলো—
■ ক্ষতস্থানে স্টেরয়েড ইনজেকশন;
■ সিলিকন জেল ড্রেসিং;
■ লেজার ও ক্রায়োথেরাপি এবং
■ সার্জারি।
প্রতিরোধে করণীয়: কিলয়েড সম্পূর্ণভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এটি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
■ ক্ষতস্থানে ভ্যাসলিন লাগানো।
■ কানে বা নাকে ছিদ্র করার পর ভ্যাসলিন লাগালে ক্ষতস্থান বেশি সময় ধরে আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। এতে কিলয়েড হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
■ এ ছাড়া অতিরিক্ত পিয়ার্সিং বা নাক-কান ফোঁড়ানো থেকে বিরত থাকা।
■ ক্ষতস্থানে প্রেশার ব্যান্ডেজ ব্যবহার করলে কিলয়েড হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
■ কিলয়েড বড় হতে ছয়-সাত মাস সময় লাগে। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে ভালো ফল আশা করা
যায়।