জনতার কণ্ঠ ডেস্ক: গর্ভকালীন যেকোনো রোগ অন্তঃসত্ত্বা ও তাঁর গর্ভের সন্তানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন জন্ডিস। নানা কারণে অন্তঃসত্ত্বা নারীর জন্ডিস হতে পারে।
অন্তঃসত্ত্বা নারী আগে থেকেই জন্ডিস বা যকৃতের রোগে আক্রান্ত থাকতে পারেন, বিশেষ করে ক্রনিক লিভার ডিজিজে।
গর্ভধারণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, এমন কিছু কারণে জন্ডিস হতে পারে। যেমন ভাইরাল হেপাটাইটিস ও যকৃতের কিছু সংক্রমণ।
গর্ভধারণের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু কারণেও জন্ডিস হতে পারে।
আবার কখনো যকৃতের সমস্যা ছিল না, কিন্তু গর্ভকালীন হেপাটাইটিস ভাইরাস (এ, বি, সি, ডি এবং ই) দ্বারা আক্রান্ত হয়ে জন্ডিস হতে পারে। হেপাটাইটিস ই ভাইরাসের সংক্রমণ অন্তঃসত্ত্বা ও তাঁর গর্ভের শিশুর জন্য বিপজ্জনক। এটি জীবনহানিরও কারণ হতে পারে। আরও কিছু ভাইরাস যকৃতকে আক্রান্ত করায় জন্ডিস হতে পারে। এ ছাড়া কিছু ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়া যকৃতকে আক্রান্ত করলে জন্ডিস হতে পারে।
শুধু গর্ভধারণের জন্য বিরল কিছু কারণে জন্ডিস হতে পারে।
ইনট্রাহেপাটিক কোলেস্টেসিস অব প্রেগন্যান্সি। এটা প্রেগন্যান্সির দ্বিতীয় (১৪ থেকে ২৬ সপ্তাহ) বা তৃতীয় (২৭ থেকে ৪০ সপ্তাহ) ট্রাইমেস্টারে দেখা দেয়। জন্ডিসের সঙ্গে রোগীর সারা শরীরে প্রচুর চুলকানি হয়। রক্ত পরীক্ষায় বিলিরুবিনের সঙ্গে সঙ্গে এসজিপিটি ও এসজিওটি বেশি পাওয়া যায়। এটা জেনেটিক ও হরমোনাল কারণে হয়ে থাকে।
হেল্প (এইচইএলএলপি) সিনড্রোম। এটা সাধারণত তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে হয়ে থাকে। স্বল্প মাত্রার জন্ডিসের সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, পায়ে পানি আসা, খিঁচুনি হওয়া, প্রস্রাবের সঙ্গে অতিরিক্ত প্রোটিন বের হওয়া, রক্তের প্লাটিলেট কমে যাওয়া, রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া, রক্তপাত হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
অ্যাকিউট ফ্যাটি লিভার অব প্রেগন্যান্সি। এটা খুবই বিরল। সাধারণত তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে হয়ে থাকে। হালকা জন্ডিসের সঙ্গে বমি ভাব, বমি এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যেতে পারে।
প্রি–এক্লাম্পসিয়া ও এক্লাম্পসিয়াতেও স্বল্প মাত্রার জন্ডিস হতে পারে।
চিকিৎসা: গর্ভকালীন জন্ডিস হলে গাইনি চিকিৎসক ও যকৃতের চিকিৎসকের পরামর্শ ও ফলোআপে থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে হবে। দরকার হলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।