হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে কেউ বিষপান করলে যা করণীয়

জনতার কণ্ঠ ডেস্ক: হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে কেউ বিষপানে, কেউ বা ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ পরিস্থিতিতে প্রথমেই যত দ্রুত সম্ভব কাছের কোনো হাসপাতালে নিতে হবে। মনে রাখবেন, বিষপানের পর এক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে আনতে পারলে চিকিৎসকদের চিকিৎসা করা সহজ হয়। কারণ এ সময়ের মধ্যে এলে পাকস্থলী থেকে অশোষিত বিষ বের করার জন্য পাকস্থলী ওয়াশ করা যায়।

এ সময়ের পর হাসপাতালে এলে পাকস্থলী ওয়াশ করালে যতটা লাভ হওয়ার কথা সে পরিমাণ হয় না। তবে সব ধরনের বিষ বা ওষুধ সেবনে কিন্তু পাকস্থলী ওয়াশের প্রয়োজন হয় না। কোন ক্ষেত্রে পাকস্থলী ওয়াশ দিতে হবে তা চিকিৎসকই ঠিক করবেন।

আমাদের দেশে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কীটনাশক জাতীয় বিষ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করা হয়। এই বিষ শরীরে বা কাপড়-চোপড়ে লাগলে সেখান থেকে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে বিষক্রিয়া করতে পারে। তাই বিষপান করলে কাপড়-চোপড় খুলে শরীর পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে।

বিষপান করলে অনেকেই গোবরমিশ্রিত পানি পান করায়ে বমি করার চেষ্টা করে। এটি ঠিক নয়। যদি বিষপান করা ব্যক্তি অচেতন বা অবচেতন থাকে তাহলে বমি ফুসফুসে চলে যেতে পারে, যা আরো মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। কেরোসিন, এসিড পান করলে বমি করানোর চেষ্টা করা ঠিক না। এতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

ওষুধ সেবন করলে ব্যবহৃত ওষুধের মোড়ক চিকিৎসকের নিকট নিয়ে আসুন। চিকিৎসা দিতে সুবিধা হবে। শিশুরা ভুলে ওষুধ সেবন, এসিড, বিষপান করতে পারে। তাই এগুলো হাতের নাগালের বাইরে রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *