আপনার মৃত্যু ডেকে আনে তামাক

জনতার কণ্ঠ স্টাফ রিপোর্টার: ফুসফুসের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর ৯০ শতাংশের জন্যই দায়ী তামাক। শুধু ধূমপায়ীরা নন, পরোক্ষ ধূমপায়ীরা ফুসফুসের ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন। তামাক কতটা ক্ষতিকর তা নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী,সাম্মানিক উপদেষ্টা, ডেন্টাল সার্জারি বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা।

ধূমপান বা তামাক পাতা যাঁরা ব্যবহার করেন তাঁরা জানেন এর ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে।
তামাকের কারণে মাথার চুল পড়া, চোখের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট, মুখের ক্যান্সার, গলার ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, হৃদরোগ, পাকস্থলীর ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, যৌনশক্তি নাশ, গর্ভপাত, মৃত শিশুর জন্ম, পায়ের পচনশীল রোগ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধূমপান যে শুধু ধূমপায়ীকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে তা নয়, একজন পাশে থাকা অধূমপায়ীকে সমানভাবে রোগাক্রান্ত করছে।
কারণ:
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়—যাঁরা তামাক ও পান-সুপারি চিবান এবং যাঁদের জর্দা ও খইনি খাওয়ার অভ্যাস তাঁদের মুখ গহ্বরের ক্যান্সার হয়। বিজ্ঞানীরা বলেন, এর কারণ হলো তামাকের সঙ্গে সুপারির কুচি চিবানো। তামাক জর্দা খাওয়া। যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের মুখে ক্যান্সার বেশি হয়। মুখগহ্বরের ক্যান্সার কেন হয়—এর সঠিক কারণ না জানা গেলেও বিজ্ঞানীরা তামাক ধূমপানকে উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যা ক্যান্সার ঘটাতে পারে বলে তাঁদের ধারণা।
লক্ষণ:
♦ মুখ গহ্বরের ঘা না শুকানো

♦ সহজেই রক্তক্ষরণ হওয়া

♦ গিলতে অসুবিধা হওয়া

♦ সব সময় গলায় কোনো কিছু আটকে থাকার অনুভূতি

ওপরের কোনো লক্ষণ প্রকাশ পেলে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। এই ধরনের লক্ষণ হওয়া মানেই ক্যান্সার নয়, সাবধানতা হিসেবে ডাক্তার দেখানো উচিত।
সাবধানতা: মুখের ভেতরের ক্যান্সার প্রতিরোধে তামাক সেবন অর্থাৎ সিগারেট, বিড়ি, হুক্কা, দোক্তা, কিমা, খইনি, গুল, নস্যি গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, যদি আমরা তামাক, ধূমপান, জর্দা ইত্যাদি বর্জন করতে পারি, তাহলে মুখের ক্যান্সার, গলার ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সারসহ অনেক ক্যান্সার রোগকেই প্রতিরোধ করতে পারব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *