উপহাস জয় করে কোচিং ছাড়াই বিসিএস ক্যাডার ইডেন ছাত্রী!

ডেস্ক রিপোর্ট : একদিন ছুটি নিলেই মিলবে টানা ৫ দিনের ছুটি পড়ালেখার সুযোগ হয়নি, মেকানিক শপে কাজ করেন শাকিব খানের বড় ছেলে ‘আমিও প্রেগনেন্ট হয়েছি, অনেকবার অ্যাবরশনও করিয়েছি’ শাকিব-বুবলীকে নিয়ে কথা বলার মতো সময় আমার নেই…
এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরি নিজের দোষে ফেঁসে যাচ্ছেন বুবলী, উত্তরের অপেক্ষায় অপু চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ সন্তানের ক্ষেত্রে সকল বাবা মায়েরা কোন ৯টি ভুল প্রায়ই করে থাকেন উপহাস জয় করে কোচিং ছাড়াই বিসিএস ক্যাডার ইডেন ছাত্রী!
তৃপ্তি অনার্স পাস করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। এজন্য তাকে অবজ্ঞা ও উপহাস করা হত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কিছুই করা যায় না। তাকে দিয়ে কিছু হবে না। এমন অনেক হতাশাজনক কথা শুনেও দমে জাননি তৃপ্তি। মাস্টার্স করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ইডেন মহিলা কলেজ থেকে। স্বপ্নকে জয় করতে লেগে থেকেছেন। কোচিং ছাড়াই পঞ্চমবারের চেষ্টায় অবশেষে সফল হয়েছেন তৃপ্তি। ৩৮তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন আলেয়া জাহান তৃপ্তি। জানা গেছে, তৃপ্তির বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের দাতিয়ারা এলাকায়। চার ভাই-বোনের মধ্যে তৃপ্তি সবার বড়। বাবা মো. আলমগীর ভূঁইয়া ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। মা আফরোজা খানম গৃহিণী। পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় দায়িত্বটা একটু বেশি তৃপ্তির। ছোটবেলা থেকে পড়ালেখার প্রতি ভীষণ মনোযোগী তৃপ্তির স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হওয়ার। পড়ালেখায় তাকে উৎসাহ জুগিয়েছেন বাবা-মা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে অনার্স এবং ইডেন মহিলা কলেজ থেকে মাস্টার্স পড়া তৃপ্তি শিক্ষাজীবন শেষ করে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন। প্রথমে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি বেসরকারি কলেজের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংগঠনিক নানা কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অঙ্কুর-অন্বেষা বিদ্যাপীঠের ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে নিযুক্ত আছেন তৃপ্তি। শিক্ষকতার ফাঁকে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকেন তিনি। তৃপ্তি ৩৪, ৩৫, ৩৬ ও ৩৭তম বিসিএসে অংশ নিয়ে অকৃতকার্য
হন।
মন খারাপ হলেও হাল ছাড়েননি, মনোবল দৃঢ় রেখে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন তৃপ্তি। দিনে কর্মব্যস্ত সময় পার করা তৃপ্তি বিসিএসের পড়াশোনা করেছেন মধ্যরাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত। পরীক্ষার কয়েক মাস আগে থেকে রাত জেগে পড়াশোনা করেছেন তৃপ্তি। অবশেষে সফল হলেন তৃপ্তি। তৃপ্তি জানালেন, মেয়েদের পদে পদে বৈষম্যের শিকার হতে হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করার কারণে আমার অনেক কাছের মানুষও আমাকে নিয়ে উপহাস করেছেন। কিন্তু আমার পরিবার বরবারই সাহস জুগিয়ে গেছে। চারবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছি। কোনোবারই প্রিলিতে পাস করতে পারিনি। বিসিএসের প্রথম ধাপ পার হতে না পারায় খুব খারাপ লাগতো। কিন্তু মনে জেদ ছিল আমাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। অবশেষে সফল হয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *