মাত্রাতিরিক্ত চর্বি জমলে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হয়

জনতার কণ্ঠ ডেস্ক রিপোর্টার: নন-অ্যালকোহলিক স্টিয়াটোহেপাটাইটিস বা ন্যাশ বর্তমান বিশ্বে এক নীরব মহামারি।
বর্তমানে সারা বিশ্বে ১১ কোটির বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। এ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রাথমিক পর্যায়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
লিভারে মাত্রাতিরিক্ত চর্বি জমার ফলে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হয়। মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান ছাড়াও লিভারে চর্বি জমলে সেটিকে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বলে। নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজে আক্রান্ত ব্যক্তিদের লিভারের একটি অংশে অতিরিক্ত চর্বি জমার ফলে প্রদাহ হয়। এতে ধীরে ধীরে লিভার তার স্বাভাবিক কার্যক্রম হারিয়ে ফেলে। চর্বি জমার ফলে প্রদাহজনিত লিভারের এই অবস্থাকে নন-অ্যালকোহলিক স্টিয়াটোহেপাটাইটিস বা ন্যাশ বলা হয়। পরবর্তী সময়ে ন্যাশ থেকে লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের মতো জটিল ও মারাত্মক অসুখ হতে পারে।
লক্ষণ: বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ন্যাশে আক্রান্ত রোগীদের নির্দিষ্ট কোনো উপসর্গ থাকে না। অন্য কোনো রোগের কারণে পেটের আলট্রাসনোগ্রাম করাতে গিয়ে সাধারণত এ রোগ ধরা পড়ে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে :
♦ পেটের ডান দিকের উপরিভাগে অস্বস্তি বোধ বা হালকা ব্যথা
♦ অস্বাভাবিক ক্লান্তিবোধ
♦ ক্ষুধামান্দ্য
♦ বমি বমি ভাব
♦ ক্রমেই ওজন হ্রাস
করণীয়: ফ্যাটি লিভার বা ন্যাশের শতভাগ কার্যকর ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি। তাই সুষম খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের মাধ্যমে ন্যাশ প্রতিরোধ করা যায়। ন্যাশ প্রতিরোধে অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটার অভ্যাস, অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ফাস্ট ফুড পরিহার, মদ্যপান ও ধূমপান বর্জন করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *