সুস্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী, লাল নাকি হলুদ কলা?

কলার পুষ্টিগুণ নিয়ে কারও কোনো দ্বিমত নেই। কলায় থাকা পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সহায়ক। বাজারে কলার নানা রকমের ধরন দেখা যায়, যার মধ্যে দুটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়—হলুদ ও লাল কলা। হলুদ কলা আমরা প্রতিদিন খেয়ে থাকি, কিন্তু লাল কলা অনেকের কাছেই এখনও নতুন। তাহলে প্রশ্ন হলো— এই দুটি কলার মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী?

মিষ্টি স্বাদের পুষ্টিগুণে ভরপুর লাল কলা, যাকে মুসা আকুমিনাটা, রেড কলা বা কিউবান কলা নামেও ডাকা হয়। দেখতে যেমন লালচে রঙের, তেমনই স্বাদে হালকা রাস্পবেরির মতো মিষ্টি। পুষ্টিবিদরা বলেন, ‘লাল কলা জিনগতভাবে পরিবর্তিত নয় বরং একটি পুষ্টিগুণে ভরা কলার জাত।’

এতে রয়েছে ভিটামিন সি ও বি৬, বিটা ক্যারোটিন, পটাশিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম। এই পুষ্টিগুলো একত্রে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও হজম ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

হলুদ কলার তুলনায় লাল কলার কী পার্থক্য?

পুষ্টিবিদরা বলেন, লাল কলা আকারে ছোট ও ঘন। এতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বেশি। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভালো।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবারের মাঝে বা স্ন্যাকস হিসেবে লাল কলা খাওয়া উচিত— আর হলুদ কলা প্রধান খাবারের পর। এতে এর পুষ্টিগুণ আরও কার্যকরভাবে শরীরে শোষিত হবে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ, শক্তি বৃদ্ধি, হজমের উন্নতি বা হৃদযন্ত্রের সুস্থতা নিয়ে চিন্তা থাকে, তাহলে লাল কলা হতে পারে ডেইলি ডায়েটের পারফেক্ট সংযোজন। প্রতিদিন ১-২টি লাল কলা খাওয়া পর্যাপ্ত ও স্বাস্থ্যকর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *